আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো পাঠক: কেমন আছেন সবাই নিশ্চয়ই ভালো আছেন? আর ভালো না থাকলে কেন ভালো নেই সেটি জানাতে পারেন চটপট কমেন্ট সেকশনে। আর আপনি যদি একজন বাইক লাভার হয়ে থাকেন, বা ইয়ামাহা কোম্পানি সম্পর্কে জানার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন, তাহলে আপনার মন খারাপ থাকলেও পোস্টটি পড়ার পর মন ভালো হয়ে যাবে এতটুকু নিশ্চয়তা দিলাম। আর তার অন্যতম কারণ হলো আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন
- ইয়ামাহার ইতিহাস
- বাংলাদেশে ইয়ামাহা বাইকগুলো এত জনপ্রিয় কেন?
- ইয়ামাহা কোম্পানি কত বড়?
এই তিনটি বিষয় সহ আরো অনেক কিছু খুঁটিনাটি তথ্য আপনি জানতে পারবেন, ইয়ামাহা সম্পর্কে। তাই আপনি যদি *ইয়ামাহার ইতিহাস* গুগলে সার্চ করার পরেও তেমন রেজাল্ট না পেয়ে থাকেন, বা সঠিক তথ্য না পেয়ে থাকেন। তাহলে আজকের পোস্টটি মন দিয়ে পড়ুন। কারণ আজকের এই পোস্টে আপনি ইয়ামাহা কর্পোরেশন সম্পর্কে ১০০% সঠিক তথ্য এটুজেট জানতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
জাপানের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি গুলোর মধ্যে ইয়ামাহা অন্যতম একটি নাম। হোয়াইট রেঞ্জের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে প্রায় ১৩০ বছর ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। একজন মিউজিক এন্থুসিয়াস্টিকের কাছে ইয়ামাহা বলতে কোম্পানিটির মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট এর কথা মাথায় আসবে। অন্যদিকে একজন মোটরসাইকেল লাভারদের কাছে ইয়ামাহা মানেই লেটেস্ট মডেলের স্পোর্টস বাইক। মোটরসাইকেল আর মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট এর জন্য ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের সুপরিচিত হলেও কোম্পানির ব্যবসা কিন্তু শুধুমাত্র এই দুইটি সেগমেন্টেই সীমাবদ্ধ নয়। মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট আর মোটরবাইক ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে
- অডিও ইকুইবমেন্ট
- সাউন্ড সিস্টেম
- জেনারেটর
- ইঞ্জিন অয়েল
- মেরিন ইঞ্জিন
- বোর্ড
- সুইমিং পুল ও রিসোর্ট এর ব্যবসা ও আছে।
ব্যবসাহিক জগতে ইয়ামাহা এমন একটি ইউনিক কম্পানি যা সম্পূর্ণ আইন রিলেটেড বিজনেস সেগমেন্ট এর সাফল্যের সাথে ব্যবসা করে আসছে গত কয়েক দশক।
ইয়ামাহা কর্পোরেশনের ইতিহাস
ইয়ামাহা ইতিহাস নিয়ে বলতে গেলে যে ব্যক্তির নাম আসবে তিনি হলেন Torakusu Yamaha যিনি ছিলেন পেশায় একজন ওয়াচমেকার। ওয়াচমেকার হিসেবে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড শুরু করলেও এই ব্যবসায়ী তিনি সেভাবে সাফল্য লাভ করতে পারেনি। এরপর তিনি মেডিকেলে ইকুইপমেন্ট রিপেয়ার কাজ করতে থাকেন, যার ফলে তাকে এক শহর থেকে অন্য শহরে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এমন ই একটি শহরে অবস্থানকালীন সময়ে সেসময়ের স্কুলের প্রিন্সিপাল ইয়ামাহা কে তাদের মিউজিক্যাল টিমের রিড অরগান্ট টি ঠিক করতে দেন। অর্গান্টি ঠিক করতে গিয়ে তিনি মিউজিক্যাল অরগান এর ওপর আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি নিজেই একটি প্রোটোটেব তৈরি করে ফেলেন। প্রোটো ট্যাবটি তৈরি হওয়ার পর ইয়ামাহা সে টিকে একটি মিউজিক্যাল ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে, প্রোটোটেপটির ট্রেনিং ঠিক না থাকায় তাকে অনেক ক্রিটিসিজ্যাম এর সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এত ক্রিতিসিস্ম এরপরও দমে যাননি টোরাক্স ইয়ামাহা।
টানা ৪ মাস মিউজিক থিওরি ও ও ট্রেনিং নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা র একপর্যায়ে একটি উপযুক্ত বাদ্যযন্ত্র সক্ষম হন। সফলভাবে রিড অর্গানের উন্নত প্রোটোটাইপ উৎপাদনে সক্ষম হওয়ার পর Torakusu Yamaha ১৮৮৯ সালে জাপানের Hamamatsu শহরে জাপানের প্রথম ওয়েস্টান মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট মেনুফেকচারিং কোম্পানি ইয়ামাহা অর্গান ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েস্টান মিউজিক কালচারের প্রতি জাপানের জাপানিজ সরকারের আগ্রহ বেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। যার ফলশ্রুতিতে ফ্যাক্টরি চালকের ২ বছরের মধ্যেই ফ্যাক্টরির কর্মী সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০ জন, আর সে সময় ইয়ামাহা বছরে ২৫০ টি বাদ্যযন্ত্র ম্যানুফ্যাকচার করছিল।
অর্গান ম্যানুফ্যাকচারিং এর ব্যবসায় ইয়ামাহা বেশ ভালো করছিল এবং তার ধারাবাহিকতায় অন্য ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর দিকে আস্তে আস্তে ফোকাস করেছিল। ১৮৯৭ সালে তিনি নতুন আরেকটি প্লান ওপেন করেন সেখানে তার, হেডকোয়ার্টার মিল ও তৈরি করেন এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখেন: NIPPON GAKKI COMPANY LIMITED ১৯০০ সালে কোম্পানিটি প্রথম পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচারিং করে। যার ধারাবাহিকতাই ১৯০২ সালে গ্রান্ড পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচারিং ও শুরু করে। ১৯০৩ সালে কোম্পানিটি ২৩ টি পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচারিং করেছিল। পরবর্তী দর্শকগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ম্যানুফ্যাকচার করা পিয়ানো আর অর্গান গুলোর জন্য বেশকিছু অ্যাওয়ার্ড জিতেছে।
যার মধ্যে অন্যতম ১৯০৪ সালে সেন্ট লুইস। এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপানের জার্মান হার্মনিকা মেকারদের সেলস কমতে থাকে, যা ইয়ামাহা অপরচুনিটি হিসেবে নেন এবং ধীরে ধীরে তার প্রোডাক্ট লাইন আপ বাড়াতে থাকেন। ১৯১৪ সালে NIPPON GAKKI হারমনি প্রস্তুত করা শুরু করে, নতুন প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ফিলোসফি ছিল একজাস্টিন প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে যে ধরনের র মেটেরিয়ালস এবং মেনুফ্যাকচারিং স্কিল প্রয়োজন পরে, সেরকমই নতুন লাইন আপ এর ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী এক্সপান্ড করা। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হুট করে ইয়ামাহা মারা গেলে ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট Chiyomaru Amano.
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ইন্ডাস্ট্রিগুলো কে গ্রো করতে বেশ সাহায্য করে, নিপ্পন গাকি ও অন্যদের মতো বেশ গ্রো করছিল। ইন ফ্যাট ১৯২০ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানের এক হাজার কর্মী ছিল এবং প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১০০০০ অর্গান আর ১২০০ পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচার করছিল। যুদ্ধের পর রিসিশন চলতে থাকলে ও NIPPON GAKKI বেশ সাফল্যের সাথেই ব্যবসা পরিচালনা করছিল। যার ধারাবাহিকতায় ১৯২২ সালে অডিও ইকুইপমেন্ট সহ অন্যান্য মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে থাকেন NIPPON GAKKI কিন্তু প্রেসিডেন্ট Chiyomaru Amano দায়িত্বের শেষ ৫ বছরে কোম্পানিটি ব্যান্ডগ্রাফ হতে বসেছিল। এর কারণ হিসেবে জাপানি মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির একটি বড় কারণ ছিল।
কেননা মুদ্রার ভ্যালু বেড়ে যাওয়ায় মার্কেটের অন্যান্য প্রোডাক্ট এর তুলনায় NIPPON GAKKI এর প্রোডাক্ট কম্পিটিটিভ প্রাইসিং করতে পারছিল না। এছাড়া ১৯২২ সালে তাদের দুইটা ফ্যাক্টরি আগুনে পুড়ে যায়। এতোসব কিছুর মধ্যে কোম্পানিটি ভালোভাবে রিকভার করার আগেই লেবার ইউনিয়ার স্ট্রাইক এর কারণে প্রতিষ্ঠানটি রিজার্ভ কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য ডিরেক্টরদের অনুরোধে আর এক বোর্ড মেম্বার Kaichi kasKami ১৯২৭ সালে NIPPON GAKKI এর প্রেসিডেন্সি গ্রহণ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে রিমার্কেবল পরিবর্তন এনে মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির টোটাল ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে ফেলতে সক্ষম হন। তিনি মূলত প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজিয়ে ও প্রোডাকশন কস্ট কমিয়ে আনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন।
শুধুমাত্র দামের ক্ষেত্রে নিজেদের কম্পিটিটর না রেখে দামের ডিফারেন্স আনার জন্য , ১৯৩০ সালে তিনি একুইস্টিক ল্যাব ও সার্চ সেন্টার চালু করেন। এছাড়াও ১৯৩০ এর দশকে জাপানের পাবলিক স্কুল সিস্টেম এর গ্রোথ এর সাথে সাথে ওয়েস্টার্ন্ড মিউজিক এর মার্কেট ও expent হচ্ছিলো। যার ফলশ্রুতিতে NIPPON GAKKI সুলভ্যমূল্যের একুরিয়ামস আর গিটার উৎপাদন করা শুরু করেছিল নতুন এই মার্কেট টি ধরার জন্য। এর মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে NIPPON GAKKI তাদের প্লান্ট গুলোকে ০ ফাইটার প্ল্যান গুলোর জন্য পপুলার ফুয়েল ট্যাঙ্ক আর উড়োজাহাজের উইং পার্টস উৎপাদন করতে বাধ্য হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার এসব কার্যক্রম কোম্পানিটির ভবিষ্যতে এক্সপানশন এর গ্রাউন্ডার তৈরি করে দেয়। যদিও যুদ্ধে NIPPON GAKKI এর শুধুমাত্র একটা ফ্যাক্টরি অক্ষত ছিল। যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফিনান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি হারমনিকিয়া ও পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচার শুরু করেন।
ছয় মাসের মধ্যে আগের মতো অর্গান একুরিয়াম আর গিটার উৎপাদন করতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর প্রথম অডিও কম্পনেন্ট ফোর্নোগফ তৈরি করেন। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
NIPPON GAKKI রেপিট এক্সপেশন এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি হেল্প করেছে, সেটি হল ১৯৪৮ সালে জাপানের এডুকেশন মিনিস্ট্রি স্কুলগুলোতে মিউজিক এজুকেশন বাধ্যতামূলক করে দেয়। ফলশ্রুতিতে জাপানে মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট এর চাহিদা বেড়ে যায় বেশ কয়েক গুণ।
এবার চলুন জেনে নিই ইয়ামাহার (Business Expansion) সম্পর্কে
১৯৫০ সালে পরবর্তী Kaichi kasKami এর ছেলে Genichi kawakami প্রেসিডেন্টর পদে আসেন। Genichi kawakami দুই মেয়াদে প্রায় ৩০ বছর NIPPON GAKKI এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন, এবং ইয়ামাহার বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যে জনপ্রিয়তা তার পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান তারই। ১৯৫৩ kawakami যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ভ্রমণ করেন। এই ট্রিপ থেকে তিনি NIPPON GAKKI কোম্পানি লিমিটেডকে বিভিন্ন ব্যবসার ক্ষেত্রে গ্রাভাই ডাইভারসিফিকেশনের জন্য এবং ফরেন্ট মার্কেটে এক্সপান্ড হতে ইন্সপায়ার হন।
১৯৫৪ সালে জাপানি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত মেটাল ওয়ার্কের ফ্যাক্টরি ফেরত পেলে কাওয়াকামি ডাইভারসিফিকেশন এর প্রথম পদক্ষেপ নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে NIPPON GAKKI কে উন্নত প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। যার ফলে কোম্পানিটি তখন নিজেরাই মেটাল পিয়ানো ফ্রেম ঢালাইয়ের কাজ করতে পারতো। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ১৯৫৫ সালের NIPPON GAKKI তাদের প্রথম মোটরসাইকেল তৈরি করে এবং সে বছরই NIPPON GAKKI তাদের মোটরসাইকেল টিকে তাদের মূল কোম্পানি থেকে আলাদা করে নতুন কোম্পানি ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে।
ইনিশিয়ালি ১২৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার জার্মান (ডি কে ডাবলু আরডি ১২৫) মডেলটির কপি ইয়া ১ মোটরসাইকেল প্রডিউস করে ইয়ামাহা। ইয়া ১ মোটরসাইকেলটি শুরু থেকেই কম্পিটিটিভ দেশ গুলোতে বেশ সাফল্য পেয়ে আসছিল। ১৯৫৬ সালে ১২৫ সিসি ক্লাসের মাউন্ট ফুজি এসেন্ট জেতার পাশাপাশি অল জাপান অটো বাইক রোড রেসে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পজিশন জিতে নিয়েছিল বাইকটি। মোটর বাইক রেসিং এ yamaha এর ইনিশিয়াল এই সাফল্য পরবর্তীতে কোম্পানির ইতিহাসে অন্যতম অংশ হয়ে পড়ে। ১৯৫৭ সালে ইয়ামাহা ইয়া ২ মডেলের দ্বিতীয় মোটরসাইকেল নিয়ে আসে, যেটিতে প্রথমটির তুলনায় বেটার সাসপেনশন আর ফ্রেম ছিল।
এদিকে সে বছরেই ২৫০ সিসির টুএন সিলিন্ডার ডাবল স্টোক ওয়াই ডি ওয়ান মোটরসাইকেল নিয়ে আসে ইয়ামাহা। ১৯৫৮ সালে NIPPON GAKKI মেক্সিকোতে নিজেদের ওভার সিস এসেফ সিডি আরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক্সপোর্ট এর জোর দিতে শুরু করে। এদিকে ১৯৫৯ সালে ইয়ামাহা প্যারেন্ট কোম্পানি NIPPON GAKKI বিশ্বের প্রথম অল ট্রানজিস্টর বাজারে ইন্ট্রোডিউস করে। সে বছরই প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রিটেইলারের নামে পিয়ানো প্রস্তুত করে দেয়। তবে ১৯৬০ সালে কোম্পানিটির লস এঞ্জেলস এ সেলসাবসিডিয়ারির মাধ্যমে নিজেদের ডাইভার্টস প্রোডাক্ট এর সেল শুরু করে। মিউজিক দিয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসতে থাকলেও ইয়ামাহার ইন্টার্নেশনাল রিবেনেশন আসতে থাকে মূলত ইয়ামাহা মোটরস এর মাধ্যমে।
এছাড়াও ১৯৬০ এর দশকে ইয়ামাহা বিভিন্ন সেক্টরে এগ্রিসেপ্লি এক্সপ্লেন্ট করতে থাকে এবং ডাইভারসিফিকেশন এর অংশ হিসেবে ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি ১৯৬০ সালে কোম্পানির প্রথম সেল বোর্ড তৈরি করেন। পরবর্তীতে ইয়ামাহা ধীরে ধীরে ইয়াট পেট্রোল ব্রাড সহ আরো বিভিন্ন মেরিন ট্রান্সপোর্ট তৈরি করতে থাকে। এদিকে ১৯৬১ সালে ইয়ামাহা লসএঞ্জেলস বোর্ড অফ এডুকেশন এর ৫৩ টি গ্র্যান্ড পিয়ানো কন্ট্রাক্টিং পেয়ে যায়। NIPPON GAKKI অন্যদের তুলনায় কামপিটিভ প্রাইজে বেটার কোয়ালিটির পিয়ানো দিতো বিধায় কোম্পানিটি খুব জলদি পরিচিতি পেয়ে যাই, এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউশনের কন্টাক্ট পেতে থাকে। এছাড়াও জাপানের মিষ্টি অফ এডুকেশন এর সহযোগিতাই ১৯৬৬ সালে NIPPON GAKKI ইয়ামাহা মিউজিক ফান্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে।
১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫ বছরের রিসার্চ ও ডেভলপমেন্ট পর প্রথমবারের মতো কনসার্ট এর জন্য গ্র্যান্ড পিয়ানো ম্যানুফ্যাকচারিং করে। এদিকে ১৯৬৮ সালে কোম্পানিটির ট্রাম প্যাড জাইলোফোন ইত্যাদি এক্সপোর্ট করা শুরু করে। এছাড়া সে বছরই ইয়ামাহা মোটর কোম্পানির প্রথম স্লো মবিল লঞ্চ করেন। এদিকে NIPPON GAKKI এর এধরনের সাফল্য ইউএস কম্পিটিটররা ভালো চোখে দেখছিল না। তাই তারা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৩০ শতাংশ তারিফ ইনফোর্স করতে চাইলেও ইউএস তারিফ কমিশন NIPPON GAKKI এর পক্ষেই রায় দেন। তবে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন যাতে আর না হতে হয় তাই ১৯৭৩ সালে NIPPON GAKKI যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের প্রথম ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি কিনে নেয়। নিজেদের মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের ট্রানজিস্টরের বদলে ইন্টিগ্রেট সার্কিট বা আইসি দেয়ার জন্য ১৯৭১ সালে নিজেদের আইসি মেনুফ্যাকচারিং প্লান্ট বিল্ড আপ করেন কোম্পানিটি।
কোম্পানির কন্টিনিউস expension এর অংশ হিসেবে ১৯৭৩ সালে ইয়ামাহা মটরস মার্কেটে (yamaha genetor) নিয়ে আসে। এদিকে ইলেকট্রনিক্সে কোম্পানিটি আর্লি ইনভারমেন্ট ভবিষ্যতে NIPPON GAKKI কে কামপিটিভ অ্যাডভান্স টেস্ট এনে দেয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের এক্সিস্টিং প্রোডাক্ট লাইন আফের সকল প্রোডাক্ট কে এনালগ থেকে ডিজিটাল ফরমেটে কনভার্টের সুবিধাতে একটি লাড্ডস স্কেল ইন্ডিপেন্ডেন্টস সার্ভিস বা এলএসআই প্ল্যান তৈরি করে। এদিকে ১৯৭৭ সালে আমেরিকার মার্কেটে মটর আর মিউজিক সেগমেন্ট কে আলাদা ভাবে রান করার জন্য। ইয়ামাহা মটর কর্পোরেশন ইউএসএ তে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তার পরের বছরই ইউএস মার্কেটে ইয়ামাহা মটরস গর্লস কারফ ইন্ট্রোডিউস করে। যদিও ১৯৮০ দশক মিস ম্যানেজমেন্টের দরুন সেরকম ভালো যাইনি NIPPON GAKKI এর জন্য। এছাড়াও সবসেডার ইয়ামাহা মটর এর কারণে NIPPON GAKKI কে সাফার করতে হয়েছিল। ১৯৮১ সালে রিলেটিভলি ছোট কোম্পানি হয়েও ইয়ামাহা মটরস হোন্ডার মার্কেট শেয়ার দখল করার জন্য, নতুন নতুন মডেল ইন্ট্রোডিউস করার পাশাপাশি নিজেদের প্রোডাকশন বাড়িয়ে দিয়েছিল। যাদেরকে হোন্ডা ও অন্যান্য ম্যানুফ্যাকচারাও একই কাজ করলেও জাপানিজ মার্কেটে চাহিদা বেশি পরিমাণের মোটরসাইকেলের প্রোডাকশন হয়ে যাই। ফলশ্রুতিতে ছোট প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরপর দুই বছর লসে রান করছিল। যদিও ইয়ামাহা মোটরসের ৩৯.১ উন করায় NIPPON GAKKI সেভাবে লসে পড়েনি।
তবে এ সময় কোম্পানিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছিল, ১৯৮৩ সালে কোম্পানিটি DX7 Digital Synthesizer ম্যানুফ্যাকচার করতে সক্ষম হয়ে যা বিশ্বের যা বিশ্বের বেস্ট সেলিং Digital Synthesizer হয়ে যায়। এছাড়া এল এস আই ডেভেলপমেন্টের কারণে NIPPON GAKKI ধীরে ধীরে প্রফেশনাল সাউন্ড সিস্টেম মার্কেটেও প্রবেশ করে। এদিকে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর উদযাপন করতে কোম্পানিটি নিজের নাম পরিবর্তন করে ইয়ামাহা কর্পোরেশন করা হয়। এছাড়া সে বছরেই ইয়ামাহা মটরস wave jumper , wave Runner ইন্ট্রোডিউস করে। এদিকে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ইয়ামাহা কোবিয়া বোর্ড কোম্পানি, দা সেঞ্চুরি এন্ড স্কিটার বোর্ড কোম্পানি, জি থ্রি বোর্ড কোম্পানি অ্যাকোয়ারি করে নেয়ার মাধ্যমে বোর্ড সেগমেন্টেও নিজেদের ব্যবসা এক্সপান্ড করে।
ইয়ামাহা বিশ্বের অন্যতম ইউনিক একটি ব্র্যান্ড, যার দুইটা ভিন্ন কোম্পানি দ্বারা অপারেট হয়। দুইটি ভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি ইয়ামাহা ব্র্যান্ড ড্রাইভারস প্রোডাক্ট ও বিজনেসের সাথে জড়িত। মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট ও অডিও ইকুইভমেন্ট এর পাশাপাশি ইয়ামাহা কর্পোরেশন ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারি ফ্যাক্টরি অটো মেশিন ও রিসোর্ট বিজনেসে জড়িত। অন্যদিকে ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি মোটরবাইক স্নো মোবিল, জেনারেটর এর পাশাপাশি মেরিন ইঞ্জিন ই-বাইক সিস্টেমসহ ইত্যাদি প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার করে। এছাড়াও yamaha মটরস সুইমিং পুল ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট সহ আরো ড্রাইভারস বিজনেস সেগমেন্টে ব্যবসা করছে। yamaha এর অ্যানুয়াল রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ সালে ইয়ামাহা কর্পোরেশন প্রায় ৩.৯৪ বিলিয়ন ইউ এস ডলার সেলস করেছিল। যার মধ্যে ২.৫৪ বিলিয়ন ডলার সেলস জেনারেট হয়েছিল মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট বিজনেস থেকে।
এছাড়াও অডিও ইকুইভমেন্ট ডিভিশনে প্রতিষ্ঠানটির সেলস ছিল ১.০৯ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। ২০১৯ সালের অ্যানুয়াল রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায় গ্লোবাল ডিজিটাল পিয়ানো মার্কেটে ইয়ামাহার মার্কেট শেয়ার ৪৯ শতাংশ। এছাড়া পোর্টেবল কিবোর্ড সেগমেন্টে ইয়ামাহার মার্কেট শেয়ার ৫৪ শতাংশ এবং গিটার সেগমেন্টে ইয়ামাহার মার্কেট শেয়ার ৮% আর Wind instrument Segment এ ৩২ শতাংশ এবং সর্বশেষ ড্রাম সেগমেন্টে ইয়ামাহার মার্কেট শেয়ার ১১ শতাংশ। অন্যদিকে জনপ্রিয় এক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ইয়ামাহা মটর কোম্পানি ২০১৯ সালে মোট ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার সেলস করেছিল। ২০২০ সালে প্রকাশিত ইয়ামাহার একটি ডকুমেন্টস থেকে জানা যায়। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ৫৩ মিলিয়নেরও বেশি মোটরসাইকেলের ডিমান্ড ছিল। এর মধ্যে ইয়ামাহা ৫ মিলিয়ন এর বেশি মোটরসাইকেল বিক্রি করে গ্লোবাল মোটরসাইকেল মার্কেট শেয়ারে ১০% হোল্ড করে নিয়েছিলো।
সাধারণত সাবসিটেরি কোম্পানিতে ইয়ামাহা কর্পোরেশন এক তৃতীয় অংশ শেয়ার রাখলেও, ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি লিমিটেড এ yamaha corporation এর বর্তমান শেয়ারে পরিমাণ ৯.৮৯ শতাংশ। এছাড়াও Toyota মটর কোম্পানি ইয়ামাহা মোটর কোম্পানিতে ৩.৫৭ শতাংশ ইস্টেক রয়েছে। দুইটি প্রতিষ্ঠান ই জাপানের টোকিও এক্সচেঞ্জ এর লিস্টে রয়েছে। google এর থেকে ইয়ামাহা কর্প্রেশনের প্রোফাইল থেকে জানা যায় ইয়ামাহা কোম্পানিটির মার্কেট ভ্যালু বর্তমানে প্রায় ৯.৬ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। অন্যদিকে ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি লিমিটেড এর মার্কেট ভ্যালু ৪.৬ ইউএস ডলার। বিশ্বব্যাপী ইয়ামাহার সকল সাবসিডিয়ার এ বর্তমানে কাজ করছে প্রায় ৫৫ হাজারেরও বেশি কর্মী।
বর্তমানে ইয়ামাহা গ্রুপের আন্ডারে রয়েছেঃ
- Bösendorfer Klavierfabrik GmbH, Vienna, Austria.
- Yamaha Motor Company
- Yamaha Fine Technologies Co., Ltd.
- Yamaha Golf Cart Company
- Yamaha Livingtec Corporation
- Yamaha Metanix Corporation
- Yamaha Music Communications Co., Ltd.
- Yamaha Pro Audio
উপরের লিস্টে সহ আরো অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে। এসব গুলো কোম্পানি মধ্যেই ইয়ামাহার জন্য সবচেয়ে বেশি সফলতা নিয়ে এসেছে ইয়ামাহা মোটর কোম্পানি। ইয়ামাহা কোম্পানি মোটরসাইকেলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মোটরযান তৈরি করে থাকেন। যার মধ্যে:
- মোটরসাইকেল স্কুটার
- মোটরাইজ বাইসাইকেল
- সেল বোর্ড
- পার্সোনাল বোর্ড
- সুইমিং পুল
- ফিশিং বোর্ড
- আউটবোর্ড মটরস
- মাল্টিপারপাস ইঞ্জিন
- ইলেকট্রিক জেনারেটরস
- ওয়াটার পাম্প
- অটোমোবাইল ইঞ্জিন
- সারফেস মাউন্তার্স
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেলিকপ্টার
- ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ইউনিট
- হেলমেট
- ইত্যাদি ইত্যাদি
শুধু এগুলোই নয় ভিন্ন ভিন্ন অনেক ধরনের মোটরযান এক্সেসরিজ তৈরি করে থাকে ইয়ামাহা। প্রায় সব ধরনের শ্রেণীভেদেই ইয়ামাহা মোটরসাইকেল উৎপাদনে বর্তমানে বিশ্বের সেরা পাঁচটির একটি কোম্পানি হচ্ছে ইয়ামাহা এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ওয়াটার বেজেলস আউটপুট মটর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও হচ্ছে ইয়ামাহা। জাপানের বাইরে ইয়ামাহা কোম্পানির সবচেয়ে বেশি প্লান্ট রয়েছে ইন্ডিয়াতে। ১৯৮৫ সালে এস্কর্ট গ্রুপের সাথে ইয়ামাহা প্রথম জয়েন্ট ভেঞ্চার মোটরসাইকেল প্লান্ট স্থাপন করে ইন্ডিয়ায়। পরবর্তীতে ২০০১ সালে এস্কর্ট গ্রুপ থেকে বেরিয়ে ইয়ামাহার ১০০% সাবসিডিয়ারি তে পরিণত হয় ইয়ামাহা ইন্ডিয়া। এবং ২০০৮ সালে মেক্সিক লিমিটেড yamaha এর সাথে নতুন আরেকটি এগ্রিমেন্ট যায় এবং বর্তমানে ইয়ামাহা ইন্ডিয়ার জয়েন্ট ভেঞ্চার হিসেবে তারাই yamaha এর সাথে রয়েছে।
ইয়ামাহা ইন্ডিয়া মূলত লিমিটেড সংখ্যাক বেশ কিছু বাইক প্রস্তুত করে থাকে ইন্ডিয়ার বাজারের জন্য। যার মধ্যে রয়েছে :-
- Yamaha Fascino 125
- Yamaha Ray ZR 125
- Yamaha RayZR 125 [2023]
- Yamaha FZ FI
- Yamaha FZ S FI
- Yamaha FZ X
- Yamaha FZS Fi V4
- Yamaha Aerox 155
- Yamaha FZ25
- Yamaha FZX [2023]
- Yamaha R15S
- Yamaha MT 15 V2
- Yamaha R15 V4
- Yamaha R15 M
এর মত বাইক গুলো ইয়ামাহা প্রস্তুত করে থাকে, ভারতে ইয়ামাহার তিনটি প্লান্ট রয়েছে যেগুলো হচ্ছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি প্লান্ট। উত্তরপ্রদেশের সুরুজপুরে আরেকটি প্লান্ট। এবং তৃতীয় প্লান্টি রয়েছে তামিলনাড়ু এর চেন্নাই এ। বাংলাদেশ ইয়ামাহার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে বিশেষ করে Fz, Fzs, mt-50, R15 এর মত বাইক গুলো রয়েছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। কিন্তু এই সবগুলো বাইক ই মূলত ইয়ামাহা ইন্ডিয়ার প্রোডাকশন। রেসিং ট্রাক কেউ ইয়ামাহা বেশ জনপ্রিয় একটি নাম। শুধু মোটরসাইকেল উৎপাদন করেই থেমে যায়নি ইয়ামাহা। ইয়ামাহা প্রস্তুত করে যাচ্ছে ফর্মুলা ওয়ান ইঞ্জিন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জ্যাক স্পিড টিমের জন্য ইয়ামাহা ফর্মুলা ওয়ান ইঞ্জিন প্রস্তুত করে গিয়েছিল।
সারপ্রাইজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি ইয়ামাহা প্রস্তুত করে যাচ্ছে অটোমোবাইল ইঞ্জিন। টয়োটা কোম্পানির সাথে ইয়ামাহার সম্পর্ক অনেক গভীর এবং অনেক পুরনো। ইনফ্যাক্ট ইয়ামাহা মোটর কর্পোরেশনের ২.৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক টয়োটা গ্রুপ। ১৯৬৭ সালে Toyota ২০০০ জিটির মূল ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক ছিল ইয়ামাহা। ১৯৮৪ সালে ইয়ামাহা মটরস করপরেশন ফর মোটর কোম্পানির সাথে বিশাল একটি এগ্রিমেন্ট সাইন করে, যার আন্ডারে ইয়ামাহা ফর মোটরস এর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে ইঞ্জিন সাপ্লাই দিয়ে আসছিল। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ইয়ামাহা বল পর্যন্ত জন্য তৈরি করেছিল। 4.4 তার বিয়ার্ড ইঞ্জিন যেগুলো মূলত ব্যবহার করা হয়েছিল এক্স সি নাইন টিন মডেলের গাড়ি গুলোর সাথে টয়োটা কোম্পানির লেকচারস সিরিজের পারফরমেন্স অরিয়েন্টেড সিলিন্ডার তৈরি করে যাচ্ছে ইয়ামাহা। ইয়ামাহা প্রস্তুত করে যাচ্ছে স্নো মোবাইল। যা স্নো তে চলার জন্য বেশ জনপ্রিয়।
২০০৭ এর পর থেকে ইয়ামাহা আমেরিকাতে সবচেয়ে বড় স্নো মোবাইল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এ পরিণত হয়েছে। ইয়ামাহা এর রয়েছে ইয়ামাহা হুইল চেয়ার , যার অন্য নাম ইয়ামাহা নাভি। এটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত। ইয়ামাহা তৈরি করে থাকে পার্সোনাল ওয়াটার ড্রাফ এবং পার্সোনাল ওয়াটার ক্রাফট ইঞ্জিন। যেগুলো মূলত হাই স্পিড ওয়াটার ক্রাফট ইঞ্জিনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ইয়ামাহা তৈরি করে থাকে সব ধরনের মোটর পার্টস এবং রাইডার ক্লোথিংস।
এখন খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন ইয়ামাহা আসলে কত বড়?
যেমনটা আপনি দেখেছেন ইয়ামাহা আসলে বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসা করে, জাপানের আর কোন গ্রুপ অব কোম্পানি এত বেশি ভিন্নতা নিয়ে ব্যবসা করে না,সো যে কোন কোম্পানির সাথে yamaha কে তুলনা করাও অসম্ভব। ২০১৭ সালে ইয়ামাহা আয় করেছে ৪০৮. ২ বিলিয়ন ইয়েন এবং ইয়ামাহার নেট ইনকাম ছিল ৪০.৭ বিলিয়ন ইএন এবং বর্তমানে ইয়ামাহা স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী রয়েছে ২৮,১১২ জন। সেই তুলনায় ইয়ামাহা হোন্ডা গ্রুপ অব কোম্পানি থেকে প্রায় ১০ গুণ ছোট কোম্পানি এবং Toyota এর মত কোম্পানির সাথে ইয়ামাহকে তুলনা করাও যাচ্ছে না।
চলুন কিছু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট জেনে নিই ইয়ামাহা কোম্পানি সম্পর্কে:-
২৭০০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ইয়ামাহা ভারতের বাজারে ৪% মার্কেট দখল করে আছে। যেখানে হোন্ডার রয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ মার্কেট, ভারতে মোটরসাইকেল মার্কেট এর সবচেয়ে বড় রাজা হিরো তারপরে রয়েছে বাজাজ। এখন নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন ইয়ামাহার মার্কেট ভারতের বাজারে খুব বড় নয়, সে তুলনায় হোন্ডা বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে প্রায় তিন শতাংশ মার্কেট দখল করে আছে ইয়ামাহা এবং সবচেয়ে বেশি মার্কেট দখল করে আছে বাজাজ। প্রায় ৪৯ শতাংশ মার্কেট বাজাজ এর দখলে।
ইয়ামাহা জনপ্রিয় ইন্দোনেশিয়াতে পৃথিবী আর যে প্রান্তে যেমন তেমনই হোক ইয়ামাহা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইন্দোনেশিয়াতে, ইন্দোনেশিয়ার ট্রাই সবার কাছেই সবচেয়ে পরিচিত বাইকের নাম হচ্ছে ইয়ামাহা। ইয়ামাহা ইন্দোনেশিয়ার জন্য আলাদা স্কুটার প্লান্ট স্থাপন করেছে, ইন্দোনেশিয়ার মতো অতি জনপ্রিয় না হলেও কলম্বিয়া এবং আর্জেন্টিনা তেও রয়েছে ইয়ামাহার জনপ্রিয়তা। সাধারণভাবে ইয়ামাহা মূলত স্পোর্টস মোটরবাইক প্রস্তুতকারী কোম্পানি হিসেবে বেশ পরিচিত, কিন্তু ইয়ামাহা স্টার মোটরসাইকেল ও প্রস্তুত করে থাকে। যেটি মূলত ক্রুজার বাইক, দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য স্পোর্টস বাইক খুব বেশি সহায়ক নয়, আর সেজন্যই ইয়ামাহা নিয়ে এসেছে ক্রুজার বাইক। বর্তমানে পৃথিবীতে গড়ে ৬০ মিলিয়ন মোটরসাইকেলের চাহিদা রয়েছে। সে জায়গায় ইয়ামাহা তৈরি করে ৬ মিলিয়ন মোটরসাইকেল। অল মোস্ট ১০% শেয়ার করে যাচ্ছে ইয়ামাহা।
সো ইয়ামাহা চাইলেই সেটা অনেক বাড়িয়ে নিতে পারে এবং র্যাংকিংয়ে ও অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারত, ইয়ামাহা এর রয়েছে মিউজিক স্কুল। ইয়ামাহা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৮০ বসর পর ইয়ামাহা প্রথমবারের মতো মিউজিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে জাপানে। ১৯৫৪ সালে ইয়ামাহা প্রথম মিউজিক স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করে থাকে।
ইয়ামাহা বাইক গুলো বাংলাদেশ এত জনপ্রিয় কেন?
প্রথমে আপনাদের কাছে একটি প্রশ্ন করি আপনারা কি জানেন বাংলাদেশে কয়টা বাইকের ব্র্যান্ড আছে? না জানলে জানিয়ে দিচ্ছি বাংলাদেশ বাইকের ব্র্যান্ড আছে প্রায় ১২০ টি। তারমানে ভয়াবহ লেভেলের কম্পিটিশন। স্টিল ১৫০ সিসি সেগমেন্টে yamaha বাইকের মার্কেট হচ্ছে ২৬ শতাংশ এটা কিভাবে সম্ভব? one word youth তারা youth দেরকে একদম টার্গেট করেছে। আর কেনই বা করবে না ৭৬% বাইকারদের বয়স হচ্ছে ২০ থেকে ৩৪ বয়সের মধ্যে। তারমানে আপনাদের যদি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাপাইতে হয় আপনাদের youth লাগবেই লাগবে। আর youth কি চাই? Something that stands out , something that speaks adventure, something dearing, something unique এবং এই জিনিসটা ইয়ামাহা তাদের ads এ সবসময় শো করে।
আরো ইন্টারেস্টিং জিনিস কি জানেন? আপনি চাইলেও ইয়ামাহা আর Yamaha R15 m অথবা R15 V4 বাইক শোরুম থেকে কিনতে পারবেন না। সো আপনার pre-book করতে হবে অনলাইনে এবং তারপর আপনাকে শোরুম থেকে সেটা কালেক্ট করে নিতে হবে। আর গত এক বছর ধরে এই ই-বুক এর সময়ে বাইক গুলো সব সময় সোল্ড আউট হয়ে যেত এবং এই সোল্ড আউট হইতে কতক্ষণ সময় লাগে জানেন? মাত্র এক মিনিট।
BRTA Statistics:
বিআরটিএর একটা হিসাব অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলাদেশের রাস্তায় ৫ লক্ষ ৬ হাজার ৯১২ ইউনিট নতুন বাইক রেজিস্টার্ড হয়। যেটা ২০২১ সালের চেয়ে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৬০ ইউনিট বেশি। জাস্ট এক বছরের মধ্যে কি পরিমান বাইক বাড়ল দেখলেন? যাইহোক আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে yamaha এর একটা প্রোগ্রাম আছে যেটার নাম হচ্ছে ইয়ামাহা এক্সচেঞ্জ ফেস্টিভাল। যেখানে বাইকার রা তাদের অন্য কোন ব্র্যান্ডের বাইক এক্সচেঞ্জ করে ইয়ামাহার একদম ব্রেন্ড নিউ বাইক এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারবেন।
কাস্টমারের লয়ালিটি:
এখানে আমি একটু রিক্যাপ করি, কাস্টমার একচুয়েলি ৪ ধরনের হয়। এটাকে একটা মডেল দেয়া হয়েছে যেটার নাম হচ্ছে Apostle model বেসিকেলি যারা আপনার মডেলের একদম পাগলা ভক্ত, সে তো ভক্ত ঠিক আছে, সে মানুষ কেউ বলে বেড়ায় আপনার ব্র্যান্ড এর ব্যাপারে। এইসব কাস্টমার কিন্তু আপনার জন্য একটা বড় অ্যাসেট। কারণ এরা একদম ফ্রিতে আপনার ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রসার করে দেয় এবং এই টাইপের কাস্টমারদের একটা নাম আছে সেটা হচ্ছে লয়ালিস্ট। এরকম আরো গ্রুপ আছে যেমন
- hostage
- Loyalists
- Defector
- Mercenaries
মূল কথা হচ্ছে ব্র্যান্ড ইউনিক টু গ্রেট মোর এন্ড মোর লয়ে লিস্ট এবং এই কাজটাই ইয়ামাহা করেছেন।
ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব
২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় বাইকার্স ক্লাবগুলো গড়ে উঠেছিল, ইয়ামাহা তাদের জন্য এটাকে একটা গোল্ডেন অপরচুনিটি হিসেবে নেয়। শুরু হয় আরসি বা ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব, ইন্টার ডিভিশন বাইক রাইডিং বা বিভিন্ন জেলায় জেলায় মোটর ফেস এসব মেম্বারদের অ্যাক্টিভ পর্টিসিপেশন এর কারণে ইয়ামাহার নাম আরো ছড়ায় সারাদেশে। ধরেন আপনার সেম বাইক সো আমাদের মধ্যে কিন্তু একটা ভ্রাতৃত্ব তৈরি হয়েছে, আরে ভাই আমারোতো ইয়ামাহা আপনার ও ইয়ামাহা? একটা কিন্তু কানেকশন তৈরি হয়েছে। এই যে এরকম একটা ভাই দেয় এটা কিন্তু yamaha বুঝতে পারে এবং এটাকে সেন্টার করে তারি একটা বিজ্ঞাপন বানাই, যেখানে শাকিব আল হাসান অভিনয় করে।
আমি যখন ইয়ামাহার মারকেটিং ক্যাম্পেইনে গুলো নিয়ে স্টাডি করছিলাম তখন এই সবগুলো সারফেস লেভেল আমি দেখলাম। বাট লং ট্রাম এ সাসটেন্ড করার জন্য আপনাকে আপনার কাস্টমারের সাবকনশাস মাইন্ড এর মধ্যে ঢুকতে হবে। যেমন আমি আপনাকে আমি একটা এক্সামপল দেই, ফ্লাক্সিলোড বলতে আমরা কি বুঝি? মে কোন মোবাইল টপ-আপ বা রিচার্জ করলে কিন্তু আমরা বলি এই ফ্লাক্সি করে দেন। বা কোক বলতে আমরা কিন্তু কোকা কোলাও পেপসিও বুঝি সব ব্র্যান্ডকেই আমরা বলি কোক।
এখন পয়েন্ট হচ্ছে এই যে একটা প্রোডাক্ট, প্রোডাক্ট বলার সাথে সাথে আমার যে ব্র্যান্ডের যে মাথায় চলে আসলো , এই প্রোডাক্ট বললাম আর আমার
ব্র্যান্ডের কথা চলে আসলো, এইটা খুবই খুবই ইম্পর্টেন্ট এবং এই ব্যাপারটাকে বলা হয়েছে একটা কনজিউমারের টপ অফ মাইন্ড অ্যাওয়ারনেস বা সংক্ষেপে টমা: প্রতিটা ব্র্যান্ডের ই কিন্তু টার্গেট থাকে যে এই টপ অফ মাইন্ড অ্যাওয়ারনেস টা গেইন করার। কারণ আপনি বুঝতে পারতেছেন? ধরেন আপনার মিষ্টির দোকান আছে , এবং ধরেন আমি বললাম আমি আজকে মিষ্টি খেতে যাব। তখন যদি আপনার ব্রান্ডের কথা আমি নিজে না চিন্তা করি that gonna had your business.
হাউ কাস্টমার থিংক বয়ে দেওয়া আছে:- আমরা আমাদের লাইফে যা কিছু কিনি তার ৯৫ শতাংশ কেনাই হয় আমাদের সাবকনশাস মাইন্ডে অর্থাৎ আপনি যদি আপনার ব্রান্ডকে একদম টফ লেভেল নিয়ে যেতে চান। তাহলে আপনাদের কাস্টমার কে এমন কিছু জিনিস দিতে হবে, যাতে করে তার টপ অফ মাইন্ড অ্যাওয়ার্ডনেস টা রিগার্ড হয়। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে ইয়ামাহা কি এই কাজটা করতে সফল হয়েছে? বা করলেও তারা কিভাবে করছে? দেখেন বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ হাজার মোটর বাইক চালক এর মধ্যে ২৮ জন মারা যান, এবং এটার পেছনে সব চেয়ে বড় কারন সড়ক দুর্ঘটনায়।
এবং এইটার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ কি? রাস্তাঘাটে নিরাপদে চলাচলের নিয়ম না মানা, গতবছর ইয়ামাহার রোড সেফটি ক্যাম্পিংন এর part হিসেবে একটা ভিডিও বের করে, yamaha রোড সেফটি মাত্র ২ মিনিটের একটা ভিডিও কিন্তু এটা আমার দেখা ওয়ান অফ দা বেস্ট। এইযে ধুমধাম দৌড়াই আমার রাস্তা পার হই, ওভারব্রিজ ইউজ করিনা ট্রাফিক সিগনাল মানি না, কারণ আরে ভাই কিছু তো হয় নাই ব্যাপার না। কিন্তু কিছু যদি হত? কিছু হয়নি তার মানে এইটা এমন না যে কিছু হতে পারতো না? এই যে এই মেসেজটা এটা কিন্তু আমাদের সারাজীবনে আমাদের মাথার মধ্যে গেঁথে যাবে। এবার ভাবেন যতবার আমি এটা নিয়ে চিন্তা করব তখন ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের নামটা আমার মাথায় তখন চলে আসবে।
ইয়ামাহা ফ্রেন্ডশিপ ডে ক্যাম্পেইন:
আবার যেহেতু বাইকের সাথে ট্রাক এবং বাসের সবচেয়ে বেশি এক্সিডেন্ট হয়, সেজন্য ইয়ামাহা ফ্রেন্ডশিপ ডে তে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে বাস ড্রাইভারদেরকে মিষ্টি দেয়। তারপর ওদেরকে টি-শার্ট দেয়। এগুলো দিয়ে তাদের ফ্রেন্ডশীপটা আরো স্ট্রং করার চেষ্টা করে, যেন এটলিস্ট বন্ধু মনে করে বাইকারদের রাস্তা একটু বুঝে শুনে সাইট দেয় আর কি। বাইক অ্যাক্সিডেন্টের ডেটা যদি আপনি দেখেন তাহলে দেখবেন বেশিরভাগ বাইক এক্সিডেন্ট হয় শীতকালে। শীতকাল ই আবার টুর দেওয়ার সবচেয়ে বেস্ট সময়, সাজেক গেলেই দেখবেন দলে দলে রাইডারা বাইক নিয়ে আসছে cross-country টুর দিয়ে। আর ইয়ামাহার আস্ত একটা টিউটোরিয়াল ইং আছে কিভাবে শীতকালে বাইক চালানো লাগবে সেইটা নিয়ে।
ট্রেনিং:
বিগিনার বাইকারদের ট্রেনিং দেওয়া হয় ইয়ামাহার রাইটিং একাডেমির পক্ষ থেকে, গত বছর বাংলাদেশের দশটি জেলায় তারা feel the reef নামে সো করেছেন, যেখানে ইয়ামাহা বাইকের টেস্ট ড্রাইভ করা হয় প্লাস বাইকিং এর বেসিক ট্রেনিং ও দেওয়া হয়।
এছাড়াও দেশের হাজার হাজার বাইকারদের কে নিয়ে বিভিন্ন সময় কক্সবাজার খুলনা-বরিশাল ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট ইয়ামাহা রাইটিং ফেস দ্বারা করেছে। যেখানে বাইকারদের একসাথে গেট টুগেদার করতেন এবং বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিতে পার্টিসিপেট করেন।
রাইডিং ক্লাব:
একটা বাইক রাইডিং ক্লাব কিভাবে সব বাইকারদের একসাথে করে রাখতে পারে এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে ও তার অবদান রাখতে পারে সেটা উদাহরণ হচ্ছে ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব। সিলেটের বন্যার্তদের মাঝে যেখানে রিলিফ টিম ও অনেক জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি, সেখানে তারা গিয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছে। কভিড এর টাইমে ত্রাণ দিয়েছেন অভাবী মানুষদের খাবার দিয়েছে, শীতের সময় রাস্তার পাশে মানুষদেরকে কম্বল দিয়েছে। ব্র্যান্ড টা কে তারা শুধু একটা বাইক ব্র্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, তারা একটা কমিউনিটি বিল্ড আপ করার জন্য কাজ করেছেন। রাফসান সাভাব কে নিয়ে, তার রিভিং সো বা বিভিন্ন ঈদ স্পেশাল নাটক আড্ডা মানে মার্কেটিং এক্টিভিটিসসে তাদের বেসেস অন্য লেভেলে।
Y Content App:
ইয়ামাহা বাইকের সাথে মোবাইল কানেক্ট করানোর জন্য হোয়াই কানেক্ট নামে একটা অ্যাপ এর ফিচার এড করে লেটেস্ট মডেলের বাইক গুলোর সাথে। এই মোবাইল অ্যাপ এর কাজটা কি!? আপনি আপনার বাইকের তেল খরচ, মাইলেজ, কোথায় আছেন এবং এরকম টেকনিক্যাল জিনিসপাতির সবকিছু থাকে। কাস্টমারের pain পয়েন্ট টাকে আইডেন্টিফাই করে তাদের খুব ইন্টারেস্টিং কাজ করে।
চলুন এবার এক নজরে দেখে নিই ইয়ামাহা (Bangladesh Operation)
শুরুর দিকে বাংলাদেশে ইয়ামাহার মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট অডিও ইকুইভমেন্ট ও মোটরসাইকেল বিভিন্ন ব্যবসায়িক গুষ্টির মাধ্যমে ইনপুট হয়ে দেশের বাজারে আস্ত বিধায়, ঠিক কবে থেকে ইয়ামাহার পণ্য বাংলাদেশে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এক সময় কর্ণফুলী মটরস বেশ কয়েক বছর দেশে ইয়ামাহার মটরসাইকেল আমদানি ও ডিসট্রিবিউশন করেছে। জুন ২০১৬ সাল থেকে এসিআই মটরস বাংলাদেশের yamaha মটরস এর অথরাইজড ডিসট্রিবিউশন এর দায়িত্ব পাই। ডিসট্রিবিউশনের দায়িত্ব পাওয়ার পর এসসিআই মোটরস বেশ দ্রুত তার সঙ্গে বাংলাদেশে ইয়ামাহার মোটরসাইকেল ডিসট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করাতে মনোযোগ দেয়।
পাশাপাশি সার্ভিসিং পার্টস ইত্যাদিতেও বেশ জোর ও গুরুত্ব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও ইয়ামাহা মোটরসাইকেল কারিগরি সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুরে এসিআই মটরস একটি মোটরসাইকেল কারখানা স্থাপন করেছে, যেটি গত ১২ ই মে ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয়। ৬ একর জমির উপর স্থাপিত এই কারখানাটিতে এ সি আই মোটরস প্রায় ১০০ কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছে। শুরুতেই এসিআই মটরস ইয়ামাহার বাইক এসেম্বলি করলেও ২০২০ সাল থেকে বাইক প্রোডাকশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও ২০১৯ সালের জুলাই মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এসিআই মটরস এর হাত ধরে ইয়ামাহা মিউজিক বাংলাদেশে অফিসিয়ালি তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যমুনা ফিউচার পার্কে ইয়ামাহা ফ্লাগশিপ মিউজিক স্টোর লঞ্চ করা হয়। এবং ঢাকা ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে ইয়ামাহা মিউজিক বাংলাদেশ ও এসিআই মোটরসের পৃষ্ঠপোষকতায় ই এম টি মিউজিক স্কুল চালু করা হয়েছে।
সর্বশেষ কথা: –
তো পাঠক কেমন লাগলো আমাদের ইয়ামাহা নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সেটি প্রথমে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিন। আমরা চেষ্টা করেছি এই একই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানানোর ইয়ামাহার ইতিহাস, ইয়ামাহা কিভাবে এত বড় কোম্পানিতে রুপান্তরিত হইল, এবং বাংলাদেশে ইয়ামাহা কোম্পানির বাইকগুলো এত জনপ্রিয় কেন এই সমস্ত কিছু আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরার। কোথাও বানানের সমস্যা হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো ইন্টারেস্টিং আর্টিকেলে আপনাদের সঙ্গে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন। এবং আপনি চাইলেই আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে পোস্টটি শেয়ার করে দিতে পারেন ধন্যবাদ।